বন্দর প্রতিনিধি : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের সকল গডফাদাররা পালিয়ে গেলেও তাদের অনুগত দোসররা এখনো নারায়ণগঞ্জ এর বিভিন্ন এলাকায় তাদের আধিপত্য বিস্তার করে চলছে।
বৈষম্য বিরোধী তথা জুলাই আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান ওসমানের পক্ষে নবীগঞ্জ ঘাট,বরফকল ঘাট,ইস্পাহানি ঘাট সহ বন্দর নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান এর নেতৃত্বে শীর্ষ সন্ত্রাসী তানজিল ও তার বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থান নেয় এবং ছাত্র-জনতার উপর হামলাও করে। এর আগে বন্দর ফরাজীকান্দা এলাকায় নারায়ণগঞ্জ অন্যতম গডফাদার আজমিরী ওসমানের নির্দেশে শীর্ষ সন্ত্রাসী আমিরে নেতৃত্বে তানজিল ও তার হোন্ডা বাহিনীর সদস্যরা জমি দখলের উদ্দেশ্যে প্রয়াত রাইসুল চেয়ারম্যান এর পুত্র পারভেজের উপর গুলি বর্ষন করে এবং পারভেজ পায়ে গুরুবৃদ্ধ হয় ৷ পরবর্তীতে শরীরে গুলি নিয়ে এর বেশ কিছুদিন পর পারভেজ মৃত্যুবরণ করে। তৎকালীন সময়ে ওসমান পরিবার অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় এই বিষয়ে পারভেজ এর পরিবার কোন প্রকার মামলা-মোকদ্দমা জড়ায়নি। এছাড়াও তানজিলের রয়েছে বিশাল হোন্ডা বাহিনী ও কিশোর গ্যাং। এই বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, মাদক ব্যবসা,জমি দখল সহ রাতের আধারে শীতলক্ষ্যা নদীর তটের মাটি কেটে নিয়ে ট্রাক দিয়ে ইট ভাটায় বিক্রি করে আসছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু দিন আগে ২৪ নং ওয়ার্ডের দেউলী চৌড়াপাড়া এলাকা সংলগ্ন নদীর তীরের মাটি কেটে নেওয়ার সময় বন্দর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনা স্থলে গেলে তানজিল সেই থানা পুলিশের এস আই কে ম্যানেজ করার জন্য কথাবার্তা বলার সময় একটি ভিডিও ধারণ হয় যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ার পর ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বন্দর ২৪ নং ওয়ার্ডের কামালউদ্দিনের মোড়ের গোলাম হোসেনের ছেলে তানজিল। এর আগে তানজিল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন । যার মধ্যে নবীগঞ্জের সিএনজি চালল রুবেল হত্যা মামলার অন্যতম এজাহার ভুক্ত আসামি ছিলেন। এছাড়া তানজিলের বিরুদ্ধে ব্যাবসায়ী নিয়াজ উদ্দিন কে চাঁদার দাবিতে মারধর ও কমিউনিটি সেন্টার ভাঙচুরের মামলা। যাহার বন্দর থানায় মামলা নং – (৩২) তাঃ ২৬/১২/২৪ ইং। গাড়ি পুড়ানো সহ হত্যার উদ্দেশ্য এক যুবককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা রয়েছে। যার মামলা নাম্বার- ৪-২/০৯/২৪ ইং।
৫ আগস্টের পরেও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত স্বজন হত্যার অন্যতম আসামি বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের সকল অস্ত্র ভান্ডার এখন তানজিলের আওতায় রয়েছে। যা দিয়ে প্রতিনিয়ত তানজিল ও এহসান চেয়ারম্যান এর বাহিনীর সদস্যরা বন্দর, নবীগঞ্জ, নোয়াদ্দা, কাইতাখালী,বক্তারকান্দী,আমিরাবাদ, চৌরাপাড়া,কুশিয়ারা ,তিনগাও সহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে আসছে। সারাদেশে অপারেশন ডেবিল হান্ট পরিচালিত হলেও আওয়ামী-জাতীয় পার্টির আজমেরি ওসমান ও সেলিম ওসমানের এই দোসর তানজিলকে দ্রুত গ্রেফতার করে তার কাছে থাকা একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় জনগন।