khobor24h
১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
  6. ইসলাম
  7. এক্সক্লুসিভ
  8. কৃষি ও পরিবেশ
  9. খেলাধুলা
  10. জবস
  11. জাতীয়
  12. ট্যুরিজম
  13. তথ্য প্রযুক্তি
  14. দেশ ও জনপদ
  15. ধর্ম ও জীবন
   
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বন্দরে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পরে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার- ২

Najmul Khandaker Abir
এপ্রিল ২৫, ২০২৫ ১০:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বন্দর প্রতিনিধি: বন্দর উপজেলার আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ড এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। ফেসবুকে এক নারীর সঙ্গে পরিচয়ের পরে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে এসে অপহরণের শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ ও উত্তর নোয়াদ্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকার বংশাল থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হকের পুত্র শিক্ষার্থী  মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) বাদি হয়ে বন্দর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলো, বন্দরের উত্তর নোয়াদ্দা ডায়াবেটিকস্ হাসপাতালের পিছনে সোহরাব মৃধার পুত্র মোঃ শান্ত হাসান (২০) ও নবীগঞ্জ কাইতাখালী এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মাসুম রেজার পুত্র মাহমুদুল হাসান সুখন (২২)। পলাতক আসামীরা হলো, নোয়াদ্দা বড় মসজিদ এলাকার সোহান (২৭), কাইতাখালির তাইজুল ইসলামের পুত্র পারভেজ ওরফে বাবু (২৪), উত্তর নোয়াদ্দার আলতাবের পুত্র রিহান (২০), রাহা মনি ওরফে রুহিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন।

মামলার এজাহারে বাদি মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) উল্লেখ করেন তিনি শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে বন্দরের রাহা মনি ওরফে রুহি (২২) নামের এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে শিক্ষার্থী নাঈম রাহা মনি ওরফে রুহির সঙ্গে দেখা করার জন্য গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে বন্দর থানাধীন আমিরাবাদ বটতলা ষ্ট্যান্ডে আসে। এসময় রাহা মনি ওরফে রুহির সহযোগিতায় ১০/১২ জনের একটি অপহরণকারী চক্র শিক্ষার্থী মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈমকে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাতনামা বিলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থী নাঈমকে আটকে তাদের হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতারী বারি মেরে নিলামুলা জখম করে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এসময় তার মানিব্যাগে থাকা নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং একটি আইফোন (যার মূল্য ৩২ হাজার পাঁচশ টাকা) লুটে নেয়। পরে শিক্ষার্থী নাঈমের বাবার ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করলে তার বাবা বিকাশের মাধ্যমে নগদ ৫ হাজার টাকা পাঠায়। পরে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থী নাঈমকে ১৪ ঘন্টা আটকে রেখে ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থী নাঈম স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ প্রথমে অভিযান চালিয়ে মোঃ শান্ত হাসানকে গ্রেফতার করে। পরে শান্ত হাসানের তথ্য মতো ২নং আসামী মাহমুদুল হাসান সুখনকে গ্রেফতার করে। এসময় মাহমুদুল হাসান সুখনের কাছ থেকে শিক্ষার্থী নাঈমের আইফোন জব্দ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।