বন্দর থানাধীন বন্দর রেল-লাইন হাফেজীবাগ ও সালেহনগর এলাকায় আধিপত্য ও বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, বাবু শিকদার ও সাবেক কাউন্সিলর আবু কায়ছার আশা গ্রুপের জাফর-রনিদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ শত্রুতা চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায়
২১ জৃন (শনিবার) রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার মধ্যে আব্দুল কুদ্দুস (৬০), পিতা-মৃত সাদেক আলী, সাং-হাফেজীবাগ, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জকে বাবু ওরফে জুয়ারি বাবু (৪০), হান্নান সরকার (৬০), পিতা- মৃত আশ্রাফ আলী সরকারসহ কতিপয় দুর্বৃত্তকারী চাকু দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে হত্যাকান্ড ঘটায়। এই হত্যাকাণ্ডে ভিকটিম আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী রোকসানা বেগম এজাহারনামীয় ১৩ জন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনের নামে বন্দর থানার মামলা নং-৩৯, তাং-২৩/০৬/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩৪১/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড রুজু করেন।
ঘটনার পরের দিন সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তাঁর নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ মাঠে নামে। যার ফলশ্রুতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্তে প্রাপ্ত ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার(৬০) এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানো দুর্বৃত্তকারী বাবু ওরফে জুয়াড়ি বাবুকে গ্রেফতার করতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়।
অবশেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস্)তারেক আল মেহেদী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিবি)মোঃসোহেল রানার তত্ত্বাবধায়নে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)আব্দুল জলিল, এস আই(নিঃ) টিপু সুলতান এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই(নিঃ) মোঃ সোহেল, এস আই(নিঃ) রুবেলসহ সঙ্গীয় ফোর্স গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ২৬ জুন ভোররাত ৪.৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন আসামি গ্রেফতার করা হয়।অতঃপর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করতে গ্রেফতারকৃত আসামি জুয়াড়ি বাবুকে নিয়ে বন্দর থানায় অভিযান পরিচালনা করে একটি রক্তমাখা সুইচ গিয়ার(চাকু) তার দেখানো মতে জায়গা থেকে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয়। এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



