প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বন্দরে যুবদল নেতা ও বন্দর খেয়াঘাট সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক কল্যান কমিটির সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে একাধিক ফেসবুক পেইজ ও বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালে চাঁদাবাজির অবান্তর তথ্যে এনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ঘটনায় ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন হুমায়ুন কবির।
গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, বিগত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট সরকার বিতাড়িত হওয়ার পরে বন্দর ১নং খেয়াঘাট সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক ভাইয়েরা আমাকে তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীকরণ,শৃঙ্খলা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিএনজি-অটোরিকশা শ্রমিক কল্যান কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনিত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্দর ১ নং খেয়াঘাট মাঝি সমিতির উপদেষ্টা হিসেবে বন্দর ঘাটের পেশাজীবি মাঝি ভাইয়েরা আমাকে তাদের কমিটি অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়াও আমি বন্দর থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালীন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় একাধিক বার জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি যা আপনারা সকলেই অবগত আছেন। প্রিয় বন্দর বাসী আপনারা সকলেই জানেন বিগত পতিত সরকারের আমলে বন্দরে আওয়ামী-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বন্দর ঘাট থেকে শুরু করে বন্দরে প্রতিটি স্তরে লুটপাট,অরজকতা, দখলবাজি,চাঁদাবাজি,ছিনতাই,হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। বিশেষ করে বন্দর বাজার থেকে খেয়া ঘাট পর্যন্ত যে বিষয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা আগেও ১৬ বছর যাবত এই একই রাস্তা ও ফুট দখল করে স্বৈরাচারের দোসররা চাঁদাবাজি করে এসেছে। বন্দর বাজার ও একটি ক্লাবের সামনে অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে যানযট সৃষ্টি করেছে। সে সময় দুই-একজন গণমাধ্যম কর্মী ছাড়া এই সকল বিষয়ে কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখিনি। আর অনেককেই দেখেছি ফ্যাসিস্ট আমলের দেশ পলাতক বন্দর ঘাট তথা বন্দরের অঘোষিত কিশোর গ্যাং লিডার সেই শীর্ষ সন্ত্রাসীর আস্থাভাজন হয়ে বছরের পর বছর তোষামোদি করেছেন। বাস্তবিক অর্থে আমার বিরুদ্ধে যে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সেখানে আমার কোন বক্তব্য নেওয়া হলো না। এই রকম একপেশে সংবাদ প্রচার যা হলুদ সাংবাদিকতার শামিল। গণমাধ্যম হচ্ছে জাতির বিবেক ও দর্পণ। একটি কুচক্রী মহল আমার ব্যাক্তিগত সুনাম ও রাজনৈতিক অবস্থান কে কলুষিত করার জন্য গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া ও অবান্তর সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। আপনারা যারা গণমাধ্যম কর্মী ভাইয়েরা আছেন বাস্তবিকভাবে খবর নিয়ে দেখেন বন্দর বাজার থেকে শুরু করে পুরো খেয়াঘাট পর্যন্ত আমার কোন দোকানপাট নেই এবং আমি ও আমার নাম বিক্রি করে কেউ কোন দোকানপাট থেকে চাঁদা উঠায় কিনা। যানজট নিরসনে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে বন্দর বাজার থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তার পাশে অবৈধ দোকান সমূহ আমি সহ আমাদের স্ট্যান্ডের যারা কমিটিতে রয়েছেন সকলে মিলে আমরা উচ্ছেদ করেছি। এতে অনেকের স্বার্থে আঘাত লেগেছে তাই আমার বিরুদ্ধে স্বার্থন্বেষী মহল ও পালিয়া থাকা ফ্যাসিস্ট এর দোসররা বন্দরে আবারও অশান্ত করতে ধারাবাহিকভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।