বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা উত্তর পাড়ার একাধিক মামলার আসামি ও ডিবি ও থানা পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী শাহ-আলম ওরফে টিকটিকি শাহালম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে এক যুবককে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় আহত যুবক সাব্বির হোসেন এর পিতা মোঃ আশাব উদ্দিন (৬০) বন্দর থানায় গত ৩ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। যার বিবাদী ১/ শাহ-আলম, ২/ মোঃ বাবু (২৬), ৩/ মিছেল ৩০ সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আহত সাব্বির ও শাহ-আলম একই ও পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা। বিবাদীদের সহিত পূর্ব হইতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলমান। বিবাদীগন এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন অপ-কর্মকারী হিসেবে পরিচিত। বিবাদী শাহ-আলম মাদক বিক্রির জন্য আহত সাব্বিরকে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করিয়া আসিতেছিল। একপর্যায়ে সাব্বির মাদক বিক্রির প্রস্তাবে রাজী না হওয়াতে শাহ-আলম ও তার বাহিনীর সদস্যরা গত ৭/১০/২৫ ইং তারিখে ভোরে সাব্বিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বন্দর নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা খনকার বাড়ির ব্রীজ সংলগ্ন পরিত্যাক্ত চায়ের দোকানের ভিতরে আটক রেখে বেদমভাবে মারপিট করে। এসময় ১ নং বিবাদী ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সাব্বিরের মাথার ডান পাশে ঘাই মারিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে সেই সাথে অন্য বিবাদীদ্বয় তাদের নিকটে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে সাব্বিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রহার করে নীলাফুলা জখম করে এবং বাম হাতে কনুইয়ের নিচে বারি মারিয়া হাড় ভাঙ্গা জখম করে।
উপরোক্ত ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের হইলে টিকটিকি শাহ-আলমের নেতৃত্বে বিবাদীগণ আহত সাব্বিরের পিতা মামলার বাদী আশাব দ্দিনকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন স্থানে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। এ বিষয়ে পুলিশের সোর্স পরিচয়দান কারী শাহ আলম ও তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা সহ তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাব্বিরের পরিবার।



