বন্দর থানাধীন পিচকামতাল এলাকায় আপন ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই জখম উল্লেখ্য নুরুল ইসলাম পিতা- মৃত মোঃ আফসার উদ্দিন, পিছকামতাল এলাকার মোঃ তাজুল ইসলাম দিপু আমার আপন ছোট ভাই তার সাথে দীর্ঘদিন যাবত বন্দর থানাধীন পিছকামতাল আমার পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলমান। আমার দুইটি মেয়ে কোন পুত্র সন্তান নেই। এর জের ধরে উল্লেখিত আমাকে আমার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ঘৃন্য উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত শারীরিক এবং মানষিক নির্যাতন করে আসছে। গত ইং ২৩/০৬/২০২৫ তারিখ আমার আত্মীয়-স্বজন সহ স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমার পাওনা সম্পত্তি মাপঝোক করে সীমানা দেয়াল নির্মাণ করি। এর জের ধরে গত ইং ২৫/০৬/২০২৫ অনুমান রাত ৮.০০ ঘটিকার আমার ছোট ভাই তাইজুল ইসলাম দিপু মিলিত হইয়া আমাদের সীমানা দেয়াল ভাংচুর করে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিসাধন করে। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী সাজেদা খানম বাধা প্রদান করলে তাইজুল আমার স্ত্রীকে হুমকি প্রদান করে যে, আমার স্ত্রী যদি ভাঙচুরের বিষয়ে কাউকে কিছু বলে তাহলে তারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করবে। অদ্য ইং ২৬/০৬/২০২৫ তারিখ ভোর রাত ৩.০০ ঘটিকার সময় আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন ৩,৫ ও আমার আপন ছোট ভাই আমার ঘরের টিনের বেড়া ভেংগে ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে আলমারিতে থাকা জমির বিক্রির বায়না বাবদ নগদ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা এবং ৩ ভরি ৮ আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঐ সময় আমার স্ত্রী ডাক চিৎকার দিলে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাই তাইজুল তার স্ত্রী বাইরে থেকে পাহারা দিচ্ছে এবং আমার স্ত্রীর গলায় ধারালো চাপাতি ঠেকিয়ে রেখেছে। আমি আমার স্ত্রীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে আমার ডান পায়ের পাতার মুড়াতে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। আমাকে এই বলে হুমকি দেয় যে, আমাকে হত্যা করে তারা আমার সম্পত্তি দখল করবে।আমাকে আহত অবস্থায় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় চিকিৎসা গ্রহন করি।
১। মোঃ তাজুল ইসলাম দিপু (৪৫), পিতা- মৃত মোঃ আফসার উদ্দিন, ২। মোঃ মোসলেউদ্দিন (৬০), পিতা-মৃত তালেব মেম্বার, ৩। মোঃ রবিন (৩২), পিতা- তাউলাদ, ৪। পারভিন (৫০), স্বামী- মোঃ মোসলেউদ্দিন, ৫। রহিমা (৫২), স্বামী- নাছির উদ্দিন, ৬। নাজমিন আক্তার পুতি (২৯), পিতা- নাছির উদ্দিন আসামী করে বন্দর থান অভিযোগ দায়ের করি।



