বন্দরে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ,ক্ষোভে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
:বন্দর প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর সাবদী ব্রহ্মপুত্র নদ কেন্দ্রীক গড়ে উঠা অবৈধ কটেজ ও বিভিন্ন রিসোর্টে এখন যাত্রাবাড়ী কিংবা কক্সবাজার, গাজীপুরের আবাসিক হোটেলের আদলে গড়ে উঠেছে রুম সার্ভিস অথবা পর্দার আড়ালে রিয়েল সার্ভিস নামে অসামাজিক কার্যকলাপের হট স্পট। প্রশাসনের কোন প্রকার ঝামেলা ও নজরদারি না থাকায় এখন সাবদী, বালুচর এলাকায় এখন নামে-বেনামে বিভিন্ন রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্রের এর মধ্যে চলছে ২ হাজার থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত রুম ভাড়া সার্ভিস। আর এখানেই ঘটছে যত বিপত্তি ও সামাজিক অবক্ষয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭/১০/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল ০৫.৩০ ঘটিকার সময়ে প্রমের ফাঁদে ফেলে বন্দরের একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বন্দর থানাধীন সাবদী পার্ক সংলগ্ন রুহুল আমিন ও বাছেদ এর ফুসকার দোকানের পিছনে ছোট রুমে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে এবং কৌশলে মোবাইল ফোনে ধর্ষনের ভিডিও ও অশ্লীল ছবি ধারন করে লম্পট জনি ও তার সহযোগিরা। পরে ধর্ষন এর ভিডিও ধারণ শেষে ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য ভিকটিমকে বলে যদি এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলে তাহলে তার বিবাদীদ্বয়ের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিকটিম এর ধর্ষনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করিয়া দিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। এ-ই ক্ষোভ থেকে ভিকটিম ওই দিনই ২৭/১০/২৫ তারিখ দিবাগত রাত ১২.৩০ ঘটিকার সময় লোক লজ্জা ও আত্ম- সম্মানের ভয়ে আত্মহত্যা করার জন্য তাদের ভাড়াটিয়া বাসার বন্দর থানাধীন বাজার সংলগ্ন বাড়ীর ৫ম তলার বাসার ছাদ হইতে লাফিয়ে পড়লে ভিকটম এর ডান হাত এবং দুই পা ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুত্বর জখম প্রাপ্ত হয়।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হলেও ঘটনার মূল আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ এছাড়াও এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে একজন লেডি সন্ত্রাসী ও টিকটকার ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী ভিকটিম এর পরিবারের সদস্যরা।
এই ঘটনায় লম্পট জনি, কিশোর গ্যাং লিডার ইমন সহ বেশ কয়েকজনকে নামীয় আসামি ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে ভিকটিম এর পিতা নাছির বন্দর থানায় ধারা: ৮ (১)/৮ (২) পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২, তৎসহ ৯(১)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নম্বর-৫৩,তাং-৩০ ইং।



